নোট বাতিলের পর প্রায় কয়েক হাজার ভুয়ো আর্থিক সংস্থার পর্দাফাঁস

নোট বাতিলের পর ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারির সম্ভাবনার কথা আঁচ করা হয়েছিল। সে আশঙ্কা যে সত্যি, তা প্রমাণিত হল কয়েক হাজার ভুয়ো আর্থিক সংস্থার পর্দাফাঁসের পরই। প্রায় ৫৮০০টি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের তথ্য সামনে আসার পরই জানা গেল, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।গত নভেম্বরে নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকেই ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্টগুলির উপর কড়া নজর রাখছিল কেন্দ্র। একাধিক সংস্থা চিহ্নিত হয়, খাতায় কলমে যাদের অস্তিত্ব আছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও ভিত্তি নেই। এই ধরনের সংস্থার অ্যাকাউন্টেই জমা পড়ছিল বাতিল নোট। পরে তা আবার তুলেও নেওয়া হচ্ছিল। নজরদারি চালিয়ে ভুয়ো সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় গোযান্দারা। সেই তথ্য মোতাবেক গতমাসেই প্রায় ২ লক্ষ ভুয়ো কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত লেনদেন নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেরকমই অন্তত ৫৮০০টি ভুয়ো সংস্থার আর্থিক লেনদেনের তথ্য সরকারের সামনে এনেছে ব্যাঙ্কগুলি। আর তাতেই বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। তথ্য মোতাবেক, নোট বাতিলের সময় এই অ্যাকাউন্টগুলির ব্যালেন্সে কোনও টাকা পয়সা ছিল না। কিন্তু ৮ নভেম্বরের পর সেখানে প্রায় ৪,৫৭৪ কোটি টাকা জমা পড়ে। যার মধ্যে থেকে পরে তুলে নেওয়া হয় অন্তত ৪,৫৫২ কোটি টাকা। এই কোম্পানিগুলোর নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট আছে। সেগুলির মাধ্যমেই এই লেনদেন চলেছে।নোট বাতিলের সময়ই কালো টাকা রোখার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কত বাতিল নোট জমা পড়েছে তার হিসেব গোড়ার দিকে দিতে পারেনি আরবিআই। পরে সে তথ্য সামনে আসায় জানা গিয়েছিল, প্রায় অধিকাংশ পুরনো নোটই জমা পড়েছে। ফলে নোট বাতিলে যে কালো টাকা বৈধ করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। এবার ভুয়ো সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেনেই তা প্রমাণিত হল। সমস্ত  চিহ্নিত সংস্থাগুলির মিলিত লেনদেন যে কোন জায়গায় পৌঁছাবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

Comments

Popular posts from this blog

Google crawled links

যদি আমি ভারতে থাকতাম, তাহলে নোবেল পুরস্কার পেতাম না! বললেন নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জী

আমরা সুপ্রিম কোর্টকে মানি না, আফজল গুরু নির্দোষ ছিল: CAA এর বিরোধিতা করতে গিয়ে বললেন মহিলা