এই বিশেষ ছয় শত্রুর কারণে চিরতরে বিনাশ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের।

দীর্ঘ ৩৫ বছরের বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা ব্যানার্জির দল। তিনি রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অনেক সংগ্রাম করে তিনি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর কিছু ভালো কাজ করার পরেও, সারদা ও নারদা কান্ডের মত ঘটনায় তার দলের নেতা মন্ত্রীদের নাম জাড়িয়ে পরাই তিনি অখুশি। এখন তার রাজনৈতিক জীবন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন তিনি রাজ্যের বাইরেও তার দল কে নিয়ে যেতে চাইছেন জাতীয় রাজনীতিতে। ২০১৯ এ মমতাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতেও চাইছে তৃণমূল সমর্থকেরা।কিন্তু মোদীজির নেতৃত্বে বিজেপি যেভাবে একের পর এক রাজ্য দখল করছেন সেখানে দাঁড়িয়ে নিজের রাজ্যতেই টিকে থাকা মমতার কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই মুহুতে দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ছয়জন শত্রু কে। তবে রাজ্য তথা দেশের রাজনীতি থেকে প্রায় মুছে যাওয়া সিপিএম এখন মমতার শত্রু নয়। তার সংগ্রামী জিবনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, জ্যোতি বসু, গৌতম দেব এর মত প্রমুখ সিপিএম নেতারা আর তার শত্রুর তালিকায় নেই।

মমতার সবচেয়ে বড় শত্রুর তালিকায় কারা কারা রয়েছেন দেখুন-

৬) মুকুল রায়:–
মমতা ব্যানার্জি এর আদর্শে বেড়ে উঠেছেন মুকুল রায়। তিনি মমতার সব সময়ের সাথি ছিলেন। দলের যেকোনো বড় কাজে সবার আগে মমতা দিদি মুকুলকে ডাকতেন। মুকুলকে দায়িত্ব দিতেন দল সামলানোর। মমতা ব্যানার্জি প্রশাসনের দিক টা দেখতেন তাই পার্টির সবকিছু দেখার সময় তার হত না, সেই কারনে তিনি পার্টি সামলানোর সমস্ত দায়িত্ব মুকুল রায় কে দিয়ে দিয়েছিলেন। মুকুল ছিল মমতা ব্যানার্জি সবচেয়ে ভরসাযোগ্য ব্যাক্তি। সেই সুবাদে তিনি তৃনমূল কংগ্রেসের ভিতরের সব খবর জানতেন। এক কথায় বলা যায় তৃনমূল কংগ্রেসের 2nd Man ছিলেন মুকুল রায়। বিজেপি সেই মুকুল রায়কেই টেনে নিলো নিজেদের দলে। মোদী ও অমিত শাহ জুটি ত্রিপুরা, অসম সহ বেশ রাজ্যে বিরোধী দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করেছে। তাই মুকুল রায় কে নিয়েও বিজেপি যাতে সেই রকম কিছু না করতে পারে সেই চিন্তায় এখন ভাবাচ্ছেন তৃনমূল শিবির কে। আসলে বড় ব্যাপার হল যে মুকুল রায় তৃনমূলের থাকার সুবাদে তাদের সমস্ত নেতামন্ত্রীদের ব্যাপারে সব কিছুই জানেন। তাই এক সময়কার ভালো বন্ধু মুকুল রায় এখন বড় শত্রু হয়ে উঠেছেন মমতা ব্যানার্জি এর কাছে।

৫) সিবিআই:–
সারদা, নারদা কেলেঙ্কারিতে একের পর এক তৃনমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। তাদের কে সিবিআই জেরা করে তাদের দোষী প্রমান করে দিয়েছেন। তাই মমতা অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরোধীতা করছি বলেই আমাদের একের পর এক নেতাদের ফাঁসানো হচ্ছে। যারাই মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে তাদের কেই জেলে ঢোকানো হচ্ছে। কিন্তু তার অভিযোগ কে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিবিআই। তারা মদন মিত্র, তাপস পাল, সুদিপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত ক্ষমতাধর তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে দোষ প্রমান করে দিয়েছেন। তাই এই সময় রাজনীতির মঞ্চে সিবিআই মমতার বড়ো শত্রুর ভূমিকা পালন করতে পারেন।

৪) অধীর চৌধুরী:–
এখন বাংলার রাজনীতিতে মমতার বিরুদ্ধে যদি কেউ সবচেয়ে বেশি সুর চড়ান সেটা হল অধীর চৌধুরী। তার মত করে সিপিএমও এখন মমতার বিরুদ্ধে কিছু বলে না যতটা তিনি বলেন। তিনি পুরো মুর্শিদাবাদে একত্রে নিয়ে চলে এসেছিলেন মমতার বিরুদ্ধে কিন্তু সেই সময় মমতা তার শক্ত ঘাটি ভেঙে দেয়। সবাই মনে করেন যে এত সিরিয়াসলি ভাবে মুর্শিদাবাদ কে নেওয়ার কারন হল অধীর চৌধুরির দক্ষতাকে ভয় পেয়েছেন মমতা। এর ফলে বলায় যায় যে, অধীর চৌধুরি এখন তৃনমূলের শত্রুতার তালিকায় বেশ উপরের দিকেই রয়েছেন।

৩) নরেন্দ্র মোদী:–
এখন মমতার সবচেয়ে বড় শত্রু হলে নরেন্দ্র মোদী। মোদীজি হারানোয় সবচেয়ে বড় টার্গেট মমতার কাছে। তিনি মোদিজিকে কোমরে দড়ি পরিয়ে ঘোরাবেন বলেছিলেন কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে তিনি নিজের দল কে বাঁচাতেই হিম সিম খেয়ে যাচ্ছেন। মমতা রাজ্যে জিতলেও দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে তিনি মোদীজির ধারে কাছেও যেতে পারছে না। তাই ২০১৯ শে মোদী সুনামি রুখতে মমতা যা খুশি করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি মোদীজিকে হারানোর জন্য মমতা তার চির প্রতিদন্ধি সিপিএমকেও বন্ধু বানাতে রাজি আছেন বলে দাবি অনেকের।

২) দলের নেতাদের আত্মতুষ্ট :–
তৃণমূলের নেতাদের এক অংশ মনে করেন যে মমতার জন্য তারা জিতে যাবেন। মমতা ম্যাজিকে তাদের কেউ হারাতে পারবেন না। আর এই বিষয়টি দেখেই দিদি অবাক। রাজনৈতিক মহলের মতে এই আত্মতুষ্ট ২০২৯ শে তৃনমূলের শত্রু হয়ে উঠতে পারেন। এক দল জেতার জন্য গুন্ডামি হোক বা অন্যকিছু অসামাজিক কাজ সবকিছুতেই রাজি।এদেরকে নিয়েই সমস্যায় পড়েছেন মমতা।

১) দলের এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী কর্মীদের আর্থিক দুর্নীতি:–
মমতার এখন চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার দলের নেতাদের আর্থিক দুর্নিতির দিক টি। তার দলের নেতাদের নাম বিভিন্ন সিন্ডিকেট মামলায় জড়িয়ে পড়ছে, এটাই এখন তার বড়ো চিন্তা। এছাড়াও বড় বড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আসছে বিভিন্ন জেলা স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
#অগ্নিপুত্র

The post এই বিশেষ ছয় শত্রুর কারণে চিরতরে বিনাশ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের। appeared first on India Rag.



from India Rag https://ift.tt/2LgQwfw
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

Pages 1

webs 21

Latest Bengali News